শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন

চাঁদে পদার্পণের ৫০ বছর…….!

চাঁদে পদার্পণের ৫০ বছর…….!

আন্দালিব রাশদী: চাঁদের অমাবস্যায় অমাবস্যা আছে ব্যক্তি ও সমাজের, চাঁদ নেই। চাঁদের পাহাড়ে চাঁদের আভাস আছে। বাংলা কবিতা ও গানে চাঁদের এতটাই ছড়াছড়ি, চাঁদ না থাকলে কবি ও গীতিকার সত্যিই বঞ্চিত হতেন। চাঁদ নিয়ে বাংলা উপন্যাস, কল্পকাহিনীর অভাবটা মেনে নেওয়াই ভালো। মানুষের চাঁদে পদাপর্ণের সুবর্ণজয়ন্তী (২০ জুলাই) স্মরণ করে কয়েকটি চাঁদ কাহিনী স্মরণ করব।
খ্রিস্টজন্মের ৭৯ বছর পর প্রকাশিত গ্রিক লেখক লুসিয়ানের লেখা ‘ট্রু হিস্ট্রি’তে চাঁদের মানুষ ও সূর্যের মানুষের দেখা মেলে। সেখানে দুই ধরনের এলিয়েনের মধ্যে লড়াই পর্যবেক্ষণের সুযোগ পায় পৃথিবীর মানুষ। দান্তের ‘দ্য ডিভাইন কমেডি’ প্রকাশিত হয় ১৩২১ সালে। এখানে চাঁদ হচ্ছে স্বর্গের প্রথম স্তর। যাদের পুণ্যের ঘাটতি, যারা তাদের পবিত্র ব্রত ভঙ্গ করেছে, তাদের আত্মা পরিত্যক্ত অবস্থায় চাঁদে অবস্থান করছে। ১৬৩৪ সালে প্রকাশিত জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহানেস ক্যাপলারের ‘সোমনিয়াম’ উপন্যাসের নাম উল্লেখ করতেই হবে। সোমনিয়াম মানে স্বপ্ন। এটি প্রথম যথার্থ সায়েন্টিফিক ফ্যান্টাসি। এখানে ক্যাপলার উল্লেখ করেন, গ্রহ ও চাঁদ স্থির নয়, কক্ষপথে আবর্তন করে। তিনি সোমনিয়ামে চাঁদে জীবন্ত সত্তার বর্ণনা দিয়েছেন।
চন্দ্রবিজয়ের ধারণা ভিন্নভাবে এনেছেন রিপভ্যান উইংকল-খ্যাত ওয়াশিংটন আরভিং। এতে চাঁদের মানুষ পৃথিবী জয় করেছে। তারা মানুষকে তাদের দাস হতে বাধ্য করেছে। এটি মূলত রাজনৈতিক স্যাটায়ার।
জোসেস অ্যাটার্লির (মূল নাম জর্জ টাকার) কাহিনীটির নাম বেশ দীর্ঘ ‘আ ভয়েজ টু দ্য মুন : উইথ সাম অ্যাকাউন্ট অব দ্য ম্যানার্স অ্যান্ড কাস্টমস, সায়েন্স অ্যান্ড ফিলোসফি, অন দ্য পিপল অব মরোসোফিয়া অ্যান্ড আদার লুনারিজ।’ ১৮২৭ সালে প্রকাশিত চান্দ্রসমাজ নিয়ে স্যাটায়ারটি পৃথিবীর মনুষ্যসমাজের প্রতিবিম্ব। লেখক লুনারিয়াম নামের একটি পার্থিব ধাতব পদার্থের কথা বলেছেন, যা চাঁদের প্রতি আকৃষ্ট।
১৮৩৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে অ্যাডগার এলেন পোর ‘দ্য আনপ্যারালেলড অ্যাডভেঞ্চার অব ওয়ান হ্যান্স পিফল’ বিজ্ঞানসম্মত চাঁদযাত্রার সেই শুরু। চাঁদে যাওয়ার বাহন বেলুন। তিন বছর পর ১৮৩৮ সালে হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন একজন রাতপ্রহরীকে জাদুকরী জুতা পরিয়ে চাঁদে পাঠালেন। পৃথিবীতে ফেরার পর যতক্ষণ না তার পা থেকে জুতা খোলা হয়, প্রহরী স্বস্তি পাচ্ছিল না।
ফরাসি কল্পকাহিনীকার জুল ভার্ন ‘ফ্রম দ্য আর্থ টু দ্য মুন’-এ যে ক্যাপসুলটি চাঁদে পাঠালেন, তা শেষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। তবে তা চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। এটি পাঠাতে তিনি ব্যবহার করেছেন অত্যন্ত শক্তিশালী কামান। রকেট ব্যবহার করেন রুশ লেখক কন্সট্যান্টিন জিয়োকোভস্কি, তাঁর ‘অন দ্য মুন’ প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। ১৯০১ সালে বিংশ শতকের শুরুতেই এইচ জি ওয়েলস প্রকাশ করেন ‘দ্য ফার্স্ট ম্যান অন দ্য মুন’। এখানে চাঁদে যাওয়ার উপাদান মাধ্যাকর্ষণ প্রতিহতকারী ধাতব পদার্থে তৈরি নভোযান। কাহিনীটি একাধিকবার চলচ্চিত্রায়িত হয়। এইচ জি ওয়েলস ও জুল ভার্নের প্রভাবে বিংশ শতকে প্রতিবছরই বিভিন্ন ভাষায় চন্দ্রাভিযানের উপন্যাস বেরোতে শুরু করে। কামান, মাধ্যাকর্ষণ প্রতিহতকারী উপাদান, রকেট শিপ, নভোযান, বহুস্তর আলবির রকেট ব্যবহৃত হয়, আবার চন্দ্রবিজয়ের আগের বছরই চাঁদে পৌঁছতে জাদুর লাঠি ব্যবহার করেন মার্ক সিøন।
এই লেখাটিতে জুল ভার্ন ও এইচজি ওয়েলসের চাঁদের উপন্যাস নিয়ে একটু বিস্তারিত বলা হবে।
জুল ভার্নের পৃথিবী থেকে চাঁদে: আর্মস্ট্রং মানবজাতির পক্ষে চাঁদে পা রাখার ১০৪ বছর আগে ১৮৬৫ সালে কল্পলোকের অমর লেখক জুল ভার্ন চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছেন। সেই স্পেসশিপের নাম কলম্বিয়াড। আমেরিকার সিভিল ওয়ার শেষ হয়েছে। বাল্টিমোর গান ক্লাবের সদস্যদের হাতে তেমন কোনো কাজ না থাকায় আলস্য ও বিরক্তি তাদের পেয়ে বসেছে। ক্লাবের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের ডিজাইন করা, তাদের বিশেষ দক্ষতা কামান নিয়ে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইম্মে বারবিকান তার মাথায় গজানো সর্বশেষ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য সদস্যদের বৈঠকে ডাকলেন। পৃথিবী ও চাঁদের গতিবিধি নিয়ে তিনি বেশ কিছু গণিতের হিসাব-নিকাশও করেছেন। তিনি চাচ্ছেন এমন একটি কামান আবিষ্কার করা হোক, যার নিক্ষেপিত গোলা সরাসরি চাঁদে গিয়ে পৌঁছবে। এই অভিনব পরিকল্পনা সবার সমর্থন পেল এবং বাস্তবায়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো। আরো একটি বৈঠকে কামান থেকে গোলা নিক্ষেপের স্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কামানের গোলা নিয়ে বিশ্লেষণ করা হলো। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবজার্ভেটরির একজন বিজ্ঞানী পরামর্শ দিলেন, গোলা নিক্ষেপের স্থানটি বিষুবরেখার কাছাকাছি হতে হবে। তাদের সামনে দুটি স্থান সুবিধাজনক ফ্লোরিডা কিংবা টেক্সাস। তুমুল প্রতিযোগিতা হলো স্থান নিয়ে। একদল চায় ফ্লোরিডা, অন্যদল টেক্সাস। জয় হলো ফ্লোরিডার। গান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইম্মে বারবিকানের এক পুরনো শত্রুও প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলাডেলফিয়ার ক্যাপ্টেন নিকোল ঘোষণা করলেন, তার প্রকল্পটি অবিশ্বাস্য ও অবাস্তবায়নযোগ্য। তিনি অভিযানের বিভিন্ন অংশ ও উপাদান নিয়ে একটার চেয়ে অন্যটা বড়এমন বিশাল অঙ্কের বাজি ধরতে শুরু করলেন। প্রথম চ্যালেঞ্জ অতিকায় কামান নির্মাণের টাকা জোগাড়। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো থেকে কামানের টাকা উঠল। যুক্তরাষ্ট্র দিলো চার মিলিয়ন ডলার, ব্রিটেন এক ফার্দিংও দেয়নি। তবে অন্যান্য দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় প্রকল্পের খরচ সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন ডলার উঠে গেল।
ফ্লোরিডার স্টোনস হিলে কামান নির্মাণের কাজ শুরু হলো। কলম্বিয়াড কামান স্থাপনের জন্য ৯০০ ফুট গভীর ও ৬০ ফুট ব্যাসের গর্ত খোঁড়ার কাজটি শেষ মুহূর্তে সম্পন্ন হলো। কিন্তু শেষ সময়ে একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল। ফরাসি অভিযাত্রী মিশেল আরদা জরুরি বার্তা পাঠিয়ে জানালেন, অতিকায় কামানের জন্য যে গোলা তৈরি হবে, তিনি তার ভেতরে থাকতে চান। গোলাটির গন্তব্য চাঁদ হওয়ায় তিনিই চাঁদের প্রথম মানুষ হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার সম্মান অর্জন করবেন। কিন্তু ব্যাপারটি যে ভীষণ ভয়ংকর, এটি সবাই স্বীকার করলেন। ইম্মে বারবিকান বললেন, ব্যাটা যখন সাহস দেখাচ্ছে, আমাদের সমস্যা কী। থাক ব্যাটা গোলার ভেতর। তার নির্দেশে গোলার ভেতরে অভিযাত্রী মিশেলকে ঢুকিয়ে রাখার বন্দোবস্ত করা হলো। ক্যাপ্টেন নিকোল আবার বাজি ধরলেন, শেষ পর্যন্ত মিশেল আসবেন না।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে মিশেল এসে গেলেন এবং তাকে গোলার ভেতর স্থাপন করার আয়োজন যখন চলছে, তখন বারবিকান ও নিকোলের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে। নিকোল তাঁকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহ্বান করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মিশেল আরদা প্রস্তাব করলেন, বৈরিতা দুজনের জন্যই ক্ষতিকর, তার চেয়ে তারা দুজন বরং তার সফরসঙ্গী হলে নিজেদের বৈরিতা ঘুচবে এবং এক সাথে তিনজনের চন্দ্র বিজয়ের দুর্লভ কাজটাও করা হচ্ছে। গৌরবের ভাগ তখন তিনজনেরই। প্রস্তাবটি সবাই সমর্থন করলেন। কামানের গোলার ভেতর তিনজনের অবস্থানের ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হলো। এই গোলাটি একটি বড় ক্যাপসুল। ডিসেম্বরে গান ক্লাব উৎসবের মধ্য দিয়ে ফ্লোরিডার স্টোনস হিল লাঞ্চিং প্যাড থেকে অতিকায় কামানের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোলাটিকে চাঁদের দিকে নিক্ষেপ করল। কিন্তু ক্রমেই মাঝপথে বৈরী আবহাওয়ার বিষয়টি তেমন গুরুত্ব না পাওয়ায় ক্যাপসুল গোলাটি নির্ধারিত লক্ষ্যে না পৌঁছে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে মহাকাশের নিয়ম মেনে সেখানেই ঘুরতে থাকল। যে তিনজনের সবার আগে চাঁদে পৌঁছার কথা, মিশেল, নিকোল ও বারবিকানতিনজনই চাঁদের কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় রয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের কী হয়েছে, কেউ জানে না। জুল ভার্নের প্রভাব এইচ জি ওয়েলসের ওপরও পড়েছে। ১৯০১ সালে তিনি লিখেছেন আরেকটি স্মরণীয় উপন্যাস ‘দ্য ফার্স্ট ম্যান অন দ্য মুন’।
এইচ জি ওয়েলসের চাঁদে প্রথম মানুষ:বেডফোর্ড সাহেব লন্ডনে ব্যবসা করতেন। কিন্তু তার ধাতটা ঠিক ব্যবসায়ীর নয়। ব্যবসায়ে মার খেয়ে দেউলিয়া হয়ে চলে এলেন গ্রামের দিকে, কেন্টের লিম্পনিতে। ঠিক করলেন নাটক লিখবেন। তাতে কিছু আয় তো হবে। একেবার হাত গুটিয়ে থাকার চেয়ে এটা বরং ভালো। ওদিকে আরেকটি ঘটনা। তারিখটি ১৪ অক্টোবর ১৮৯৯। ক্যাভর সাহেব এমনটা আশাও করেননি। তার ল্যাবরেটরিতে একটি ধাতব পদার্থের সঙ্গে আরেকটি ধাতব পদার্থ গলিয়ে মেশাতে মেশাতে হিসাবের ভুলে অদ্ভুত একটা পদার্থ বানিয়ে ফেললেন, যে পদার্থ বিনা প্ররোচনায় ওপরের দিকে উঠে এক ঝটকায় তার ঘরের ছাদ উড়িয়ে দিলো। ঘটনাচক্রে বানিয়ে ফেললেও ক্যাভর সাহেব অবিষ্কৃত পদার্থটির সঙ্গে নিজের নাম জুড়ে দিলেন। নাম হলো ক্যাভরাইট।
বেডফোর্ড সাহেব ভেবেছিলেন, গ্রামের এই দিকটাতে শান্তিতে লেখালেখি করবেন; কিন্তু প্রতিদিন বিকেলের দিকে প্রায় একই সময়ে একজন পথচারীর বিচ্ছিরি রকমের চলার শব্দে তার বিরক্তি ধরে। পরে জানতে পারেন, তিনি একজন পদার্থবিজ্ঞানী, তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন এবং জানতে পারেন, এই বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত ক্যাভরাইট মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে কাজ করে। মূলত ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে নিলেন ক্যাভরাইট কাজে লাগিয়ে বহু টাকা আয় করবেন। যদি ক্যাভরাটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যায়, তাহলে দুজনের হাতে এত টাকা আসবে, যা কাজে লাগিয়ে বড় ধরনের সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ক্যাভর সাহেবের মাথায় ভিন্ন চিন্তা। এই ধাতব পদার্থটি ব্যবহার করে একটি স্পেসশিপ বানাবেন, তারপর চাঁদে যাবেন। তিনি নিশ্চিত, চাঁদে প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই। অনেক চেষ্টা করে অনিচ্ছুক বেডফোর্ড সাহেবকেও তার সঙ্গী হতে রাজি করালেন।
সত্যি তারা চাঁদযাত্রা করলেন। যাত্রাকালীন বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ আছে, বিশেষ করে ওজনহীনতার। ওজনহীনতার ব্যাপারটি বেডফোর্ড সাহেবের ভালোই লাগে।
তাদের ক্যাভরাইট স্পেসশিপ চাঁদে অবতরণ করে। ক্যাভর সাহেব অবাক হলেন, চাঁদে আসলে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, সবুজ গাছগাছালির কমতি নেই। দুজনেই হিসাব করে বের করলেন চান্দ্র মাসের অর্ধেকটা সময় প্রায় দুই সপ্তাহ চাঁদে দিন থাকে, পরের দুই সপ্তাহ রাত, মানে অন্ধকার এবং বরফজমাট ঠা-া চার দিকে। তারা চাঁদের প্রাণী সেলেনাইটের দেখা পেলেন। এগুলো পোকা, তবে তারা অতিকায় পোকা মুনকাভস চন্দ্রশাবক ধরে ধরে খায়, এটাই প্রধান খাবার। পৃথিবীর পিঁপড়া কিংবা মৌমাছির যেমন সুশৃঙ্খল রুটিনে বাঁধা জীবন, সেলেনাইটেরও তাই। এখানকার প্রধান খনিজসম্পদ হচ্ছে স্বর্ণ।
পায়ের তলার দিক থেকে আসা ভয়ংকর শব্দ শুনে তারা আঁতকে ওঠেন। টের পেলেন দানবাকৃতির (পাঁচ ফুট উঁচু) চন্দ্রশাবক উঠে আসছে। হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়ে থেকে কিছুটা সময় পার করার পর তারা ভিন গ্রহের ছয়টি এলিয়েনের হাতে বন্দী হন। এক সময় তারা বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে কিছুসংখ্যক মেলেনাইট হত্যা করে মহাকাশযানের দিকে ছুটতে থাকেন। বেডফোর্ড সাহেবের ইচ্ছা, যতটা সম্ভব স্বর্ণ তুলে নিয়ে যাবেন। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানী ক্যাভর আহত হয়ে সেলেনাইটদের হাতে ধরা পড়েন। কিন্তু বেডফোর্ড সাহেব তার জন্য অপেক্ষা না করে শুধু একটি চিরকুট রেখে ফেরার পথ ধরেন। ক্যাভর সাহেব তখন চেষ্টা করছেন সেলেনাইটদের সঙ্গে কথোপকথনের, যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার।
এইচ জি ওয়েলসের প্রকাশনার ৬৮ বছর পর মানুষ সত্যিই চাঁদে পৌঁছে। জার্মান ঔপন্যাসিক ও চিত্রনির্মাতা ফ্রিত্জ ল্যাভের ‘উইমেন ইন দ্য মুন’-এ প্রথম নারী ফ্রিডে চাঁদে পৌঁছেন ১৯২৯ সালে। ফ্রিডে চাঁদে রয়েই যান। নাসার বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৪-এ কোনো নারী নভোচারী চাঁদে পৌঁছবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877